রোজায় পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশঃ জুন ১৭, ২০১৬ সময়ঃ ৫:৪২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

004গরমের রোজা? সে শরীরের উপর এক বিশাল ধকল। প্রায় ১৬-১৭ ঘন্টা তীব্র গরমে না খেয়ে থাকতে হয়। খাবার না খেয়ে তবুও দিন কাটিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু সারাদিন পানি না খেয়ে থাকা আসলেই খুব কষ্টের। কিন্তু রোজা তো রাখতেই হবে। তাই আসুন দেখে নিই, রোজায় কীভাবে পানিশূন্যতা রোধ করে সুস্থ্য থাকা যায়।

১। ইফতারি আর সেহরি পর্যন্ত বয়স, ওজন আর উচ্চতা ভেদে দৈনিক ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। এই পানি আপনাকে সারাদিন সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করবে।

২। রোজা রেখে অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত লবণ দেহ থেকে পানি শুষে নিয়ে দেহের পানির চাহিদা বাড়িয়ে দেয়, যা আপনাকে ক্লান্ত করে দেবে।

৩। Re-hydrating মিনারেল তথা K+ যুক্ত খাবার সেহরি আর ইফতারে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এসকল খাবার আমাদের দেহ থেকে পানি স্বল্পতা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। খেজুর, আম, কলা ইত্যাদি এ ধরণের আদর্শ খাবার।

৪। রোজায় শরীরের পানি স্বল্পতা রোধে অবশ্যই সেহরিতে চা-কফি পান করা বর্জন করতে হবে। এই পানীয়গুলো আমাদের শরীরে di-uretics হিসেবে কাজ করে। ফলে বেশি প্রস্রাব হওয়ার কারণে আমাদের দেহের পানির চাহিদা বেড়ে যায়।

৫। রমযানে প্রতিদিন অবশ্যই সুষমজাতীয় খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর সুষম খাবার আমাদের শরীর ভালো রাখতে এবং শরীরের পানির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।

৬। ইফতার ও সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি শরীরে বেশি পানি ধরে রাখে এমন খাবার, যেমন—লেবু, কমলা, শসা, তরমুজ ও ডাবের পানি খেতে হবে।

৭। চর্বিজাতীয় খাবার সেহরিতে বাদ দিতে হবে। কারণ, চর্বিজাতীয় খাবার শরীরে বেশি গরম তৈরি করে। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৮। সেহরিতে বেশি করে আমিষ/ প্রোটিন খাবার খেলে শরীর থেকে পানি কম বের হবে। এতে ক্ষুধা কম লাগবে এবং শক্তি থাকবে অনেকক্ষণ।

৯। শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ, এগুলো তাড়াতাড়ি শক্তি দিলেও শরীরকে পানিশূন্য করে, ক্লান্ত অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G